কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব-আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর উপর নির্মিত দ্বিতীয় ভৈরব রেল সেতুর উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
একইসঙ্গে এ সময় ঢাকা-কলকাতা রুটের মৈত্রী ট্রেনের ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন ও কলকাতার রেলওয়ে স্টেশনে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের কার্যক্রমেরও উদ্বোধন করা হয়। তবে এই সুবিধা আগামী শুক্রবার থেকে কার্যকর হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এই সেতুর উদ্বোধন করেন।
এসময় ভৈরবে রেলসেতুর নিচে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ঢাকা, কলকাতা ও দিল্লির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে উদ্বোধন কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ অর্থায়নে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে রেলসেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইরকন অ্যান্ড এফকনস কোম্পানি ৬২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির কাজ শেষ করেছে।
দুই বছর মেয়াদে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরে কয়েক দফা সময় বাড়ানো হয়। এতে সেতুটির উদ্বোধনও বেশ পিছিয়ে যায়। অবশেষে, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে রেলসেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯৮৪ মিটার এবং প্রস্থ ৭ মিটার। নির্মিত সেতুটিতে ব্রডগেজ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এরই মধ্যে গত শুক্রবার সেতু দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এছাড়াও তিতাস নদীর উপর দ্বিতীয় আরেকটি রেলসেতুসহ ছোট-বড় মিলে আরও ছয়টি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে ১১ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের কাজও শেষ হয়েছে।
রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চলীয়) জোনের মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল হাই জানান, সেতুটির মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট রেলপথে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। কোনো ক্রসিং ছাড়া ট্রেন চলাচলের ফলে এই পথের যাত্রীদের সময় কম লাগবে। শুধু তাই নয়, এতে যাত্রীদের ভোগান্তিও কয়েকগুণ কমে আসবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস