আশুগঞ্জ উপজেলার উন্নয়নের সূতিকাগার মেঘনা নদীর স্রোতধারায় রচিত হয়েছে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা। স্থাপিত হয়েছে উৎপাদনমূখী সরকারী বিভিন্ন গুরম্নত্বপূর্ণ স্থাপনা। যেমন আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার কেমিকেল কোং লি, সাইলো, জিটিসিএল, রেল ব্রিজ ও সৈয়দ নজরম্নল ইসলাম সেতু। এছাড়া দেশের বিরাজমান বিদ্যুতের চাহিদার আলোকে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১৫০০ মেগাওয়াট উন্নীতকরণে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানী লিঃ এর নিজস্ব অর্থায়নে ৫৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, আশুগঞ্জ ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার পস্ন্যান্ট, আশুগঞ্জ ৪৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার পস্ন্যান্ট (দক্ষিণ), আশুগঞ্জ ৪৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার পস্ন্যান্ট (উত্তর), ২০০ মেগাওয়াট মডিউলার পাওয়ার পস্নান্ট, ৫০ মোগাওয়াট মিডল্যান্ড পাওয়ার পস্নান্ট, ৫৩ মেগাওয়াট ইউনাইটেড আশুগঞ্জ পাওয়ার পস্নান্ট, ৮০ মেগাওয়াট এগ্রিকো পাওয়ার পস্না্ন্ট প্রকল্প বাসত্মবায়নাধীন রয়েছে।
জাতীয় গ্যাস গ্রিডের চাপ আশুগঞ্জ প্রামেত্ম ৬৮০ পিএসআই থেকে বৃদ্ধি কওে ১০০০ পিএসআই তে ডেলিভারী দেয়ার জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও সরকারী নিজস্ব অর্থায়নে ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আশুগঞ্জ কম্প্রেসার স্টেশন স্থাপন প্রকল্প বাসত্মবায়নাধীন রয়েছে। উক্ত উন্নয়ন কর্মকান্ডে আশুগঞ্জবাসীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, গতি সঞ্চার করেছে এ অঞ্জলের অর্থনীতিতে, বৃদ্ধি পেয়েছে মানুষের ক্রয় ÿমতা ও জীবনযাত্রার মান। এছাড়াও এ জনপদের উন্নয়নে কৃষিভিত্তিক শিল্প চাতাল কলসমূহ গুরম্নত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাও এ উপজেলার উন্নয়নের দ্বার উন্মোচিত করেছে। ঢাকা সিলেট মহাসড়ক এ উপজেলার উপর দিয়ে চলেযাওয়ায় পরিবহনভিত্তিক সেবা সেক্টরেরও সম্ভাবনা রয়েছে। এ উপজেলার সাথে সড়ক, রেল ও নদীপথে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামের যোগাযোগ রয়েছে। এছাড়া আমত্মইউনিয়ন যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নয়নে অনন্য ভুমিকা রাখছে। জেলা সদর হতে দূরত্ব সড়কপথে ১৭ কিলোমিটার হওয়ায় এ উপজেলার প্রশাসনিক ও উন্নয়ন কার্যক্রম তত্ত্বাবধান ও বাসত্মবায়নে গতিশীলতা রয়েছে। নদীপথেও বিকাশমান পরিবহন/যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে নদীবন্দর স্থাপন সহ অভ্যমত্মরীণ কন্টেইনার টার্মিনাল স্থাপনে গৃহীত প্রকল্পের আওতায় ৬০একর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ উপজেলায় ৩২৮ একর জমি নিয়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন প্রসত্মাবাধীণ। এ উপজেলার উপর দিয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেললাইন অতিবাহিত হওয়ায় বর্তমান রেলসেতুর পাশাপাশি নির্মাণাধীন দ্বিতীয় ভৈরব রেল সেতুর কারনে ঢাকার সাথে দ্রম্নত যোগাযোগ সহ আশুগঞ্জ রেল স্টেশন ভিত্তিক ব্যবসার নতুন দ্বার উমেণাচনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এ উপজেলার শিÿার হার ৫১% (২০১১ এর আদমশুমারী অনুযায়ী) যাহা জাতীয় শিÿার হারের নিচে হলেও শিÿার মান বৃদ্ধির লÿÿ্য সরকারী ও বেসরকারী প্রায় ৮৯ টি বিভিন্ন পর্যায়ে শিÿা প্রতিষ্ঠান নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ উপজেলার অনেক কৃতি সমত্মান সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পদস্থপদে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে অনেক তরম্নণ তরম্নণী প্রবাসের জীবন বেছে নিয়েছে। যাদের প্রেরিত অর্থ এ উপজেলার অর্থনীতিকে আরো সুদৃঢ় করেছে। সার্বিকভাবে পর্যালোচনায় এ উপজেলার বিকাশমান অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বিভিন্ন সেক্টরে সম্ভাবনার দ্বার উমেণাচিত করেছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস